অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দেশের মেধাবীদের কোনো মূল্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বুয়েট, চুয়েট, ডুয়েটসহ আপনি যেখানেই পড়ালখো করেন না কেনো কোনো মূল্য নেই। আজকে দেশের বেশিরভাগ মেধাবী শিক্ষার্থী দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এর কারণ কী? কারণ হলো এ দেশে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভালো জায়গায় চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আপনি যদি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন, বিরোধীদলীয় রাজনীতি করেন। যদি আপনার দু:সম্পর্কের কোনো আত্মীয় বিএনপি করে তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপনার চাকরি হবে না।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা) এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে সরকার জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে -মাহবুবের রহমান শামীম
ডেজা সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলমমের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী এনামুল কবির সোহাগের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব‘র মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, ডেজার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার, প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে বিরোধী সমর্থকদের প্রতিযোগিতামূলক ও মেধার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে চাকরির সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজকে এমন দেশে বসবাস খরা খুবই দুষ্কর। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে দিয়ে ইফতার মাহফিল না করার জন্য নোটিশ দিচ্ছেন। আর তারই নমুনা দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র যারা তাবলীগ করে তাদের ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করেছে। এভাবে একটি দেশের বৃহত্তম ধর্ম সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে আক্রমণ করানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমাতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকে ডেজার ইফতার মাহফিল তারই প্রমাণ। এই অবৈধ ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের আন্দোলনে যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যেককে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান রিজভী।
ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর মোর্শেদ খান, প্রকৌশলী একেএম জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আইনুল কবির, প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন সেলিম, প্রকৌশলী মো. শাজাহান মিয়াসহ আরও প্রায় দুই শতাধিক প্রকৌশলীবৃন্দ।
-সূত্র: কালবেলা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।