দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চার দিনে ৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে একজন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বাকি আটজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রউফকে প্রাথমিক পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিক এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

আবদুর রউফকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সদর উপজেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।’

ওই চিঠির অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিম চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন জলঢাকা পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়া নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (কমেট চৌধুরী), ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দিনাজপুরের বিরল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ১২ নম্বর চিকনদন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, সদস্য জহুরুল আলম ও কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঈদগাঁ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া।

গত মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখ, গত ২১ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান ও কক্সবাজার ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।