পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় চাঁদা আদায় ও হয়রানির প্রতিবাদে সড়কে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি ও অটোরিক্সার শ্রমিকরা। রবিবার (২ জুন) সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনীতে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় চকরিয়া বরইতলী ও মগনামা অটোরিক্সা সিএনজি সংগঠনের কয়েক শতাধিক শ্রমিক এ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে এর প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেন। এ সময় শ্রমিকরা সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করতে প্রশাসনসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সুত্র জানায়, বরইতলী-চকরিয়া-মগনামা অটোরিক্সা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা আদায় করা হয়। শ্রমিকদের কল্যাণের কথা বলে এ সব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে পেকুয়ায় সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় চাঁদা। এক প্রকার জিম্মী করে একটি প্রভাবশালী চক্র ওই টাকা নিজদের পকেটে ভরছে। এ দিকে সম্প্রতি ওই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্যমত্য দেখা দেয়। প্রধান সড়ক থেকে চাঁদা আদায় ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধের দাবীতে পেকুয়ায় অসন্তোষ তৈরী হয়েছে। গত ২ দিন ধরে চৌমুহনী মগনামা জেটিঘাটসহ ১১ টি পয়েন্টে সাধারণ শ্রমিকরা জড়ো হন। এ সময় পেশিশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মোকামে টাকা আদায় কারকদের তারা বয়কট করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ দিকে সৃষ্ট ঘটনার জের ধরে সিএনজি সংগঠনের একপক্ষের সভাপতি নাছির উদ্দিন প্রেস ব্রিফিং করেন। এ পরিস্থিতির জন্য সিএনজি সংগঠনের অপরপক্ষ রফিককে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এমনকি পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দু’ভাইকেও জড়িয়ে বক্তব্য প্রদান করে। রবিবার সন্ধ্যায় এর প্রতিবাদে সিএনজি সংগঠনের অপরপক্ষের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক ও সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে সিএনজি সংগঠনের একাংশের সভাপতি মো: রফিক ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা সাধারন শ্রমিকরা দীর্ঘ ২১ বছর ধরে চাঁদাবাজির শিকার। সড়কে শ্রমিকদের জিম্মী করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। নাছির উদ্দিন ও মো: বারেক দু’জনই এ সংগঠনের বহিরাগত। এ দু’জন শ্রমিক নন। চকরিয়া-বরইতলী-মগনামা অটোরিক্সা সড়ক পরিবহন (১৪৯১) নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন। এ কমিটিতে নাছির ও বারেক সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা আমাদেরকে শোষণ করছে। ২১ বছর ধরে আমরা নিপীড়নের শিকার। সাবেক সাংসদ জাফর আলমের ছত্রছায়ায় নাছির-বারেক সিন্ডিকেট সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বহু মামলার আসামি নাছির -বারেক এলাকার ত্রাস। সাধারণ শ্রমিকের ঘাম ঝরানো রক্ত এতোদিন ধরে চুষে খেয়েছে। কেউ
প্রতিবাদ করলে নাশকতা, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আমরা সাধারণ শ্রমিকদের পক্ষে থাকেন। এতে করে তাকেও হয়রানি করা হয়েছে। নাছির গং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার ভাইদের জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এমনকি মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছে। মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে তাদের সম্মান হানি করার চেষ্টা করছে। আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।