রক্তার্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় সদা সজাগ থাকতে হবে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিল করেছে রামু লেখক ফোরাম। অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি, তরুণ লেখক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুরের সভাপতিত্বে বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আ. হ. ম নুরুল কবির হিলালী। প্রধান আলোচক ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট আইনজীবী এড. হোসাইন আহমদ আনছারী।
সাধারণ সম্পাদক আহমদ ছৈয়দ ফরমানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি, তরুণ গবেষক হাফেজ সাইফুল ইসলাম, সদস্য, মফস্বলের কবি শফিকুল ইসলাম, শিক্ষানবিশ লিখিয়ে আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য স্থাপন করতে হয়েছে আত্মদানের বিরল দৃষ্টান্ত, পেশ করতে হয়েছে ত্যাগের সর্বোচ্চ নজরানা। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির চরম বৈষম্য ও লাঞ্ছনা-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলার বীর সন্তানেরা ঝাঁপিয়ে পড়েন মাতৃভূমির স্বাধীনতা সংগ্রামে। ফলশ্রুতিতে লাখো শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা, আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। বিশ্ব মানচিত্রে আসন গড়ে নেয় বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্র। তাজা রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভিনদেশি আগ্রাসন ও অপসংস্কৃতির কবল থেকে মুক্ত করতে সবধরণের আধিপত্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে হবে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বৃটিশ বিরোধী আযাদী আন্দোলনের কারণে আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ সুগম হয়েছে। আর সেই আযাদী আন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বচ্ছধারার ওলামায়েকেরামের গৌরবোজ্জ্বল অবদান রয়েছে। স্বাধীনতার মূল তাৎপর্য, চেতনা ও ইতিহাস নবপ্রজন্মকে জানাতে হবে।
সভায় স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদান ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি -সমৃদ্ধি কামনায় করে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।