এস.এম জুবাইদ,পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় শতবর্শী এক বৃদ্ধ শব্বির আহম্মদ ও তার পুত্রবধূ মাইমুনা বেগম (৩০) কে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহতদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়্যাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতেরা ওই এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র শব্বির আহমদ ও তার পুত্র সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মাইমুনা বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মৃত উকিল আহম্মদের পুত্র মোস্তাক আহমদ গং ও মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র শব্বির আহমদ গং এর মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুর ১২ টার দিকে গৃহবধূ মাইমুনা বেগমের বাড়িতে পুলিশ আসে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপর একই এলাকার মৃত উকিল আহম্মেদের পুত্র মোস্তাক ও তার ভাই বদিউল আলম, মোস্তাকের পুত্র ইসমাইল ও ওসমান, মোস্তাকের স্ত্রী শাকেরা বেগম, বদিউল আলমের স্ত্রী লালমতি, জুবাইর ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম, ওসমানের স্ত্রী সেলিনা আকতার সহ ৩/৪ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে এসে মাইমুনা ও তার শ^শুর শতবর্ষী শব্বির আহমদের বসতঘরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের কে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত মাইমুনা বেগম জানান, জোবাইর, ইসমাইল এবং ওসমানের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তা নিয়ে একাধিকবার শালিসী বৈঠক হয়। বৈঠকে শুরাহা না হওয়ায় আমরা থানায় অভিযোগ দিই। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার দিন দুপুরে পুলিশ সরেজমিনে এসে তদন্ত করে চলে যায়। পরে তারা পুলিশ আসায় ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে গলটিপে ধরে শালীনতাহানি করে এবং আমার শ^শুরকে মারধর করে আহত করে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।