সংবাদদাতা:
নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও অপপ্রচার নিয়ে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সেলিম উল্লাহ সিকদার। এই নিয়ে তিনি ওপেন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
সেখানে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধির কাজ কি? অপরাধী অপরাধ করবে, ধর্ম ব্যবসায়ী মসজিদের টাকা আত্মসাৎকারি ভূমি দস্যু, ধর্মের নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল করবে আর জনপ্রতিনিধি দেখে দেখে আঙুল চুষবে? তা হতে দেওয়া হবে না। আমার ৪নং ওয়ার্ড ছদ্মবেশী সাধু বাবারা যতই চাপাচাপি কর কোন কাজ হবে না। অন্যায় অবিচার যেখানে হবে সেখানে সাথে সাথে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে কঠিন হস্তে প্রতিহত করা হবে। ওপেন চ্যালেঞ্জ এক বাপের সন্তান হলে ভালো হয়ে যা সাহস থাকলে সামনা সামনি এসে মোকাবেলা কর।

সার্বিক প্রসঙ্গে মেম্বার সেলিম উল্লাহ সিকদার বলেছেন, জামালপাড়া কবরস্থানটি দুটি ওয়ার্ডের ১০ হাজারের বেশি মানুষের। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার লোকজনের একমাত্র কবরস্থান এটি। সেভাবে এলাকার লোকজন যথাসাধ্য কবরস্থানটি সংরক্ষণ করে রাখার চেষ্টা করে আসছিলেন। এর মধ্যে কবরস্থানের সীমানা লাগোয়া স্থানের সরকারি জমি দখল করে নেয় ভূমিদস্যুরা। এসব ভূমিদস্যুরা দীর্ঘদিন ধরে অপকৌশলে জায়গা ভেঙে ভেঙে কবরস্থানের অনেক ভেতরে পর্যন্ত জবর দখল করে নিয়েছে। এরমধ্যে ওই চক্রে যোগ দেয় স্থানীয় একটি কুচক্রী পরিবার। তারা এলাকার মানুষের মধ্যে গন্ডগোল লাগিয়ে দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর মধ্যে কবরস্থানের জায়গার ভেতরে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এলাকার মানুষ মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধী অবস্থান নেয়নি। কিন্তু চক্রটি তাতে ক্ষান্ত হয়নি। এবার কবরস্থানের পাশে মাদ্রাসার জায়গা ঘর করে বসবাস করা মধু নামের এক ব্যক্তিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে ওই কুচক্রী মহল।
মেম্বার সেলিম উল্লাহ সিকদার আরো জানান, সম্প্রতি এলাকার সব মানুষ মিলে কবরস্থানকে জবর দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে অবশিষ্ট অংশের সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ করতে যায়। কিন্তু এতে মধুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ওই কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র শুরু করে। গত সোমবার স্থানীয় মেম্বার হিসেবে সেলিম উল্লাহ সিকদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সীমানা দেয়াল নির্মাণ কাজে তদারক করতে যান। কিন্তু সেখানে পরিকল্পিতভাবে আগে থেকে গন্ডগোল তৈরির জন্য অপচেষ্টা করতে কবরস্থানের সীমানা দেয়াল নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। কিন্তু সে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মাদ্রাসার নাম দিয়ে জায়গা দখল করতে গিয়ে সেলিম উল্লাহ সিকদার কর্তৃক মারধরের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ফেসবুক ও মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

এলাকার লোকজন জানান, সেলিম সিকদার একজন জনদরদি সমাজ সেবক মেম্বার। তিনি নির্বাচিত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যে এলাকার সামাজিক ও উন্নয়নমূলক বেশ কাজ করে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি এলাকার অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জরসাধারণকে সাথে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। একারণে এলাকার কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তি সেলিম উল্লাহ সিকদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কবরস্থানের সামান্য ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
একদিকে সম্প্রতি কবরস্থান নিয়ে সংঘটিত ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করে কবরস্থানের সুন্দর ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ নিয়েছেন। একই সাথে কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনুদান দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই বিষয়ে সেলিম সিকদার বলেন, আমি অন্যায় পক্ষে কখনো যাবো না। আবার ন্যায়ের জন্য কাউকে ছাড় দেবো না। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ করে যাবো। তা করতে গিয়ে মরতে হলে মরবো।