দৈনিক আমাদের বার্তা:
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণেতা প্রশান্ত কুমার পাল। গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি বলেন, বোর্ডে বসে প্রশ্ন করেছিলাম, কেন যে এমন হয়ে গেলো তা এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।

এ সময় দু:খ প্রকাশের পাশাপাশি প্রশ্ন মডারেটরদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রশান্ত।

ওই প্রশ্নটি করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ওটা একটি কাল্পনিক সূত্র। আমি দুঃখিত এর জন্য। আমি জাতি, রাষ্ট্র ও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চাই। যেহেতু একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমি ওই সময় কোন সেন্সে যে লিখেছি, কিভাবে লিখেছি এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।

তিনি বলেন, কিন্তু আমার ওপরে চারজন মডারেটর ছিলেন। তারা কেন বিষয়টি নজরে আনলেন না? তারা তো বিষয়টি কেটে দিতে পারতেন। একটু মডিফাই করতে পারতেন। ওটার দুই-চার লাইন পরিবর্তন করলেই তো এমনটি হতো না। কিন্তু তারা তো সেটা করেননি।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি ভীষণ ভীষণ লজ্জিত। মানুষ হিসেবেও অপমানিত বোধ করছি। আমার অবচেতন মনে এটা হয়ে গেছে। আমি খেয়াল করিনি। আমি এর জন্য অনুতপ্ত।

প্রশান্ত কুমার পাল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজে কর্মরত। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শিক্ষকতা করছেন তিনি। তিনি প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিভাগের প্রধান। এর আগেও পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন করেছেন। নিয়মিত দেখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক পরীক্ষা খাতা।

জানা যায় তিনি কলেজটির অধ্যক্ষের আত্মীয় এবং উদ্দীপকে যে দুজনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তারা তার আত্মীয়।

গত রোববার অনুষ্ঠিত এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নটির প্রণেতা তিনি। ওই প্রশ্নে ধর্মীয় উসকানি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা বোর্ড তিনি ছাড়াও ওই প্রশ্ন প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজন মডারেটরকে শনাক্ত করেছে।