মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান প্রফেসর রেজাউল করিম’কে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রফেসর রেজাউল করিম চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা মাতব্বর পাড়ার বাসিন্দা নজির আহমদ ও মোহছেনা খাতুনের পুত্র। তিনি চকরিয়া পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি, সাতকানিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইসএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স সহ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সিলেটের এম.সি. কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন।
প্রফেসর রেজাউল করিম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক ও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কল্যানে নানামূখী সৃজনশীল কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। একজন কবি ও প্রাবন্ধিক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘চেতনার স্বপ্নজাল’ এবং ‘স্বোপার্জিত মানচিত্র ‘ পাঠক মহলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
তিনি আশির দশকে স্বৈরশাসনবিরোধী ছাত্র- গণআন্দোলনের কর্মী-সংগঠক। চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ শিক্ষক পরিষদ (২০১৬) ও চট্টগ্রাম কলেজ শিক্ষক পরিষদ (২০০০-০১) এবং ২০১৮-১৯)-এর নির্বাচিত সম্পাদক। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।
তিনি ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি, সাংবাদিকতা, সম্পাদনার সাথে সম্পৃক্ত। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একজন গবেষক। একজন মানবিক মানুষ অধ্যাপক রেজাউল করিম মেধাবী, পরিশ্রমী, সৎ ও পরিচ্ছন্ন শিক্ষক-প্রশাসক হিসাবে তাঁর সকল কর্মস্থলে পেশাদারিত্বের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন।
প্রফেসর রেজাউল করিম কক্সবাজারের প্রবীণ সাংবাদিক মমতাজ উদ্দিন বাহারীর সহধর্মিণী ওয়াহিদা আকতার উর্মির বড় ভাই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।