সাতকানিয়া প্রতিনিধি:
সাতকানিয়ায় এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনাকানিয়ার মির্জাখীল চৌধুরী পাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (মোটর সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী সেলিম চৌধুরীর বাড়ীতে দলবল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলার দৃশ্যটি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ফেসবুক লাইভে দেখা যায়। বাড়ির বাইরে সশস্ত্র হামলার দৃশ্য দেখে তার পরিবারের সদস্যরা ঘরে কান্নাকাটি শুরু করেন। সেলিম চৌধুরী উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এসময় প্রার্থীর দুই সমর্থক মুহাম্মদ হারুন (৫৫) ও সাজ্জাদকে (২৮) মারধর করা হয়।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম চৌধুরী জানান, নির্বাচনে ভোটারের মাঝে আমার জনপ্রিয়তা দেখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ও নৌকার প্রার্থী জসীম উদ্দিনে নেতৃত্বে মধ্যরাতে সন্ত্রাসী নিয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে আমার বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে নির্বাচনী অফিসের অসংখ্য চেয়ার, ঘরের কাঁচের জানালা, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর ও নির্বাচনী সরঞ্জাম পুকুরে ফেলে দেয় তাঁরা। এছাড়া একই এলাকার মাঝের পাড়ায় আমার সমর্থক মুহাম্মদ সাগর ও সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতেও হামলা চালায় তাঁরা। আমি আগে থেকে হামলা আশঙ্কা জেনে স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলেও ঘটনার ২০ মিনিট পর তাঁরা আমার বাড়িতে এসে ঘটনার সত্যতা দেখে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।

হামলার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সেলিম তার প্রচারণায় শিবিরের ক্যাডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়। বিনা কারনে আমাকে কটুক্তি করে বিভিন্ন বক্তব্য ও স্লোগান দেয়ার পর নেতা কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হলে ওই সময় সেখানে আমি তাদের নিভৃত করি।

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) সুজন কুমার দে বলেন, সোনাকানিয়ায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। হামলার সাথে জড়িতদের কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য ৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার সাতকানিয়ার ১৬ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।