আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন(সিএমপি) পুলিশের নতুন কমিশনার হিসেবে যোগদান করেছেন উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক কৃষ্ণ পদ রায়।তনি হলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সিএমপি র ৩১ তম কমিশনার।

সোমবার (১৮ জুলাই) সকালের দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন( সিএমপি) পুলিশের সদর দফতরে তিনি যোগদান করেন।

এ সময় পুলিশের একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করেন। পরবর্তীতে সিএমপি কমিশনার দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের জনক চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামীনুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফরসহ বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়কে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়।

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা কৃষ্ণ পদ রায় প্রয়াত গোপাল চন্দ্র রায় ও রমা রাণী রায়ের প্রথম সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন।

১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে।

তাঁর প্রথম কর্মজীবন শুরু হয় বগুড়ায়। সহকারী পুলিশ সুপার পদে সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর বদলি হয়ে আসেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার হিসেবে। এরপর পদোন্নতি পেয়ে শেরপুর ও চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বদলি হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের ডেপুটি কমিশনার, ঢাকার ডিবি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এবং সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ দায়িত্ব পালনকালে পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি পদমর্যায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ক্রাইম ও অপারেশন পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পদকপ্রাপ্ত হন। চৌকস এ কর্মকর্তা ২০০২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র ও এক কন্যার জনক।