অনলাইন ডেস্ক: মেয়ের জন্য সত্যিই আকাশের চাঁদ কিনে এনেছেন টাঙ্গাইলের আল-আ‌মিন ইসলাম সো‌হেল

মেয়েরা নাকি বাবার কাছে সবচেয়ে আদরের। রাজা না হয়েও প্রতিটি বাবার কাছেই তাই তার মেয়ে রাজকন্যা। মেয়ের জন্য আকাশের চাঁদও এনে দিতে পারেন বাবারা। এবার সত্যিই মেয়ের জন্য আকাশের চাঁদ কিনে এনেছেন টাঙ্গাইলের আল-আমিন ইসলাম সোহেল।

অবিশ্বাস্য মনে হলেও টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বাসিন্দা আল-আমিন ইসলাম সোহেল প্রথম কন্যা সন্তান জন্মের খুশিতে চাঁদে জমি কিনে মেয়েকে উপহার দিয়েছেন। তবে, মে‌য়ে এখনও অনেক ছোট বলে স্ত্রীর হা‌তে চাঁদে কেনা জমির কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে আল-আমিন সোহেল ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “গত ৩১ আগস্ট আমার জীবনকে আলোকিত ক‌রে আমার মেয়ের আলিশা রহমানের জন্ম হয়েছে। আলিশার জন্মের পর থেকেই তা‌কে বিশেষ কিছু উপহার দেওয়া যায় কি-না ভাবতে থাকি। পরবর্তীতে, আমেরিকাতে বসবাসকারী আমার মামার মাধ্যমে অনলাইনে “লুনারল্যান্ড ডটকম” নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে চাঁদে এক একর জমির অর্ডার দিয়েছিলাম। জমির কাগজপত্র হাতে পেয়ে আজ আমার স্ত্রীর কাছে সেগুলো হস্তান্তর করেছি।”

তিনি আরও জানান, চাঁদে এক একর জমি কিনতে তার ২০০ ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শিকদার বলেন, “আমাদের সমাজে কিছু মানুষ যখন কন্যা সন্তানকে বোঝা মনে করেন, সেখানে সোহেল কন্যা সন্তান জন্মের আনন্দে চাঁদে জমি কিনে মেয়েকে উপহার দিয়েছেন। বিষয়টি সমাজের সবার মানসিকতা পরিবর্তনে উৎসাহ দেবে। এবং কুসংস্কার দূর করতে সাহায্য করবে।”

তবে, বিবিসি ও ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৭৯ সাল জাতিসংঘের উদ্যোগে “মুন অ্যাগ্রিমেন্ট” নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহটিকে শুধু বিশ্ববাসীর শান্তিতে ব্যবহার করা যাবে। এবং চাঁদে যদি মহাকাশ স্টেশনও স্থাপন করতে হয়, সেটিও জাতিসংঘকে আগে জানাতে হবে।

মুন অ্যাগ্রিমেন্টে আরও বলা হয়, চাঁদ এবং এর প্রাকৃতিক সম্পদের সাধারণ উত্তরাধিকার সমগ্র মানবজাতির। কেউ যদি এই সম্পদের অপব্যবহার করে, তাহলে তা প্রতিহত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক শাসনব্যবস্থা তৈরি করা হবে। মুন অ্যাগ্রিমেন্টে যেহেতু চাঁদের উত্তরাধিকার হিসেবে “সমগ্র মানবজাতির” কথা বলা হয়েছে, তাই অনেকেই মনে করেন চাঁদে ব্যক্তিগত ও করপোরেট মালিকানা নিষিদ্ধ।