চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মোড়ে বসছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ে নির্মাণাধীন চত্বরে থাকছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাম্পানের ম্যুরালও। প্রায় ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে চত্বরটি নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
দুই মাসের মধ্যে ম্যুরালের নির্মাণ কাজ শেষে সেটি স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী চত্বর এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী ও গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সিসিসির প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনিরুল হুদা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ।
বিডিনিউজ জানায়, সিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তারই অংশ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সমৃদ্ধ এ চত্বর। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি করা হচ্ছে। চত্বরে থাকছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাম্পানের ম্যুরাল।
ম্যুরাল নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, চত্বরে একটি জলাধার থাকবে। এর ওপর বসানো হবে সাম্পান। সাম্পানটি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। আর থাকবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। ম্যুরাল স্থাপন করা হবে বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে কর্ণফুলীর তীরে। নদী থেকেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি দেখা যাবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, ম্যুরালটি হবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকের। উলম্ব লোহার পাইপ থাকবে, এর উপর কোটিং করে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হবে। পুরো চত্বরের নকশাটি করেছেন বুয়েটের একজন শিক্ষক। আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ম্যুরালসহ চত্বরের সব কাজ শেষ হবে বলে আশা সিসিসির এই নির্বাহী প্রকৌশলীর।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।