চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) সংবাদদাতাঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আদালতের নিদর্শনা অমান্য করে বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ গাছ কেটে জায়গা দখলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার মৌজা আমিরাবাদ বি.এস খতিয়ান ১৩৫৫/ ১৫১১ নম্বর খতিয়ানের লিপিকৃত ১০৫৯১, সুলতান আহমদ চৌধুরী নামে জরিপকৃত ২৩.৩৩ শতক সম্পত্তি মূলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালত চট্টগ্রাম দক্ষিণ মিছ মামলা নং ৭৮১/২০২৩ (লোহাগাড়া) এবং স্মারক নং ১৯২৩/ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ধারা ফৌঃ ফাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারা জারি করেন।
বিজ্ঞ আদালত উক্ত জায়গায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৫ ধারা ফৌজদারি আইন জারি করলেও বিবাদী মোরশেদুল আলম, শহিদুল ইসলাম ও খোরশেদুল আলম ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও দলবল নিয়ে আইন ও নিদর্শনা অমান্য করে আদালতকে বৃদ্ধ আগুল দেখিয়ে জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করলে জায়গার মালিক মরহুম সুলতান আহমদ চৌধুরীর পুত্র জাকির হোসেন চৌধুরী স্থানীয় থানার আশ্রয় নেন।
বিজ্ঞ আদালতের আইন ও নির্দেশ অমান্য কারী মোরশেদুল আলম, শহিদুল ইসলাম ও খোরশেদুল আলমের বিরুদ্ধে গত ১৯ অক্টোবর জায়গার মালিক জাকির হোসেন চৌধুরী বাদি হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার ডায়েরি নং ৯৪৮/ লোহাগাড়া থানা।

উত্তর আমিরাবাদ চৌধুরী পাড়া সুফি পুকুর উত্তর পাড় চৌধুরী পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও সুফিয়া নুরিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদ মাঠের সামনে সুফি পুকুরের পূর্ব পাড় প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও আড়াইশ ফুট লম্বা দেরশত বছরের পুরনো জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ গাছের বাগানটি জবরদখলের চেষ্টা চলছে। এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বি মরহুম সুলতান আহমদ চৌধুরীর পুত্র জাকির হোসেন চৌধুরীর পরিবারের জায়গায় পুরোনো দেরশত বছরের কবরস্থান ও ফলজ বাগান রয়েছে।

পৌত্রক সম্পত্তি মালিক জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, র্দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে বিজ্ঞ জজ আদালত চট্টগ্রামে মামলা বিচারাধীন থাকার সত্ত্বেও বিবাধী মোরশেদুল আলম, শহিদুল ইসলাম ও খোরশেদুল আলম অর্থ ওয়ালা ও সম্পত্তি লোভী হওয়ায় আমাদের সাথে সবসময় প্রভাব বিস্তার করে দেড়শত বছরের পুরনো আমার পারিবারিক কবরস্থান ও বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ গাছের বাগানটি জবরদখল করা চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাকে ও আমার পরিবারের নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। শান্ত প্রিয় এলাকায় আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা রকম গালিগালাজ ও মেরে ফেলের হুমকি দিযে সংঘর্ষ ও খুন মত একটি অঘটনের আশঙ্কায় যেকোনো সময় তারা এ ঘটনা করতে পারে।
এ পুরোনো কবরস্থান ও ফলজ বাগানের জায়গা আমাদের নামে চুড়ান্ত আর.এস ও বিএস রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইত্তোমধ্যে আমাদের পৌত্রিক সম্পত্তি পুরোনো পারিবারিক কবরস্থান ও ফলজ গাছের বাগান রক্ষার জন্য দেয় পাকা ওয়ালটে থাকা আমার বাবা মরহুম সুলতান আহমদ চৌধুরীর নামে ৩০ বছর ধরে থাকা নেমপ্লেট ভেঙে দেয় সীমানা থাকা ৫ শত মত ফলজ গাছ কেটে জবরদখলের চেষ্টা কারীদের বিরোধে আমরা লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লোহাগাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি এবং তদন্তের প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরও জানান, সুফি পুকুর ও পুকুরের পাড় আমাদের মুরছি পৌত্রিক সম্পত্তি। কবরস্থান ও ফলজ গাছের বাগান আমাদের।
কবরস্থানের সীমানা থাকা গাছ কেটে ফেলা ও পাকা দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে এলাকায় উশৃঙ্খলা ও অশান্ত সৃষ্টিকারী উপরোক্ত বিবাদী যেকোনো সময় খুন করার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা করতে পারে এবং মরহুম কবির আহমদ চৌধুরী, মরহুম মতিউর রহমান, মরহুম শফিকুর রহমান ও চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদে নামে ওয়াক্ফকৃত চারটি দলিলের মাধ্যমে সমস্ত পুকুরের অংশ বিক্রয় করে দেন বিবাদীদের দাদা মৃত মোখলেছুর রহমান।