বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুতে ট্রেন ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সফল হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তিনটি রেল ইঞ্জিন চালিয়ে যাচাই করা হয়।

শুরুতে সাড়ে ১০ টনের ২২০০ সিরিজের ইঞ্জিন, তারপর ১১ দশমিক ১৬ টনের ২৯০০ সিরিজের ইঞ্জিন এবং সবশেষ ১৫ টনের ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিন সেতুতে চলাচল করে।

এই ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিন দিয়েই কক্সবাজার পথের ট্রেন চলবে।

ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথে যেতে হলে ট্রেনকে প্রায় শতবর্ষী এই সেতু পাড়ি দিতে হবে। এ জন্য সংস্কার কাজের জন্য গত ১ অগাস্ট তিন মাসের জন্য সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করা হয়।

এর আগে দুই বার সময় নির্ধারণ করেও ট্রেনের ট্রায়াল রান হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে রোববার ৮টি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার নবনির্মিত রেলপথে যাবে ইন্সপেকশন টিম। তারা রেলপথ, স্টেশনসহ সব বিষয় যাচাই করে দেখবে।

পূর্ব রেলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ তিন রকমের ইঞ্জিন ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কালুরঘাট সেতু ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত আছে।”

বুয়েটের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক দল ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। গত সপ্তাহে তারা সেতুতে সংস্কার কাজের কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে আবু জাফর বলেন, “উনারা যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন, সেভাবে কাজ শেষের পরই আজ ইঞ্জিন চালানো হয়েছে।”

চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলে।

১৯৩০ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় ৭০০ গজ দীর্ঘ রেল সেতুটি। ১৯৫৮ সালে সেতুটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় পাকিস্তান সরকার।

২০১০ সালে তৃতীয় শাহ আমানত সেতু উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচলের কারণে সেটি নাজুক হয়ে পড়ে।

২০০১ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পর ২০০৪ ও ২০১২ সালে দুই দফা সংস্কার করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ।

মেরামত কাজের জন্য সেতু বন্ধ থাকায় এখন ফেরিতে করে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে। এই সেতুর পরিবর্তে সেখানে নতুন একটি সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আগামী বছরই এমন একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।