লোহাগাড়া প্রতিনিধি
বনবিভাগের লোকজন ফাঁকিবাজি ছাড়া আর কিছুই করে বলে না মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও অরণ্য উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সুলতানা কামাল।
তিনি বলেন, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণীরেদর আবাস্থল। সম্প্রতি চালু হওয়া দোহাজারী রেললাইন প্রকল্পে ১২৪টি পাহাড় কেটে দৃশ্যমান রেললাইন নির্মাণ করে রেল চলাচল শুরু হয়। এই প্রকল্পে বনকর্মতাদের ফাঁকিবাজি ও গলাবাজি ছাড়া কিছুই নেই। শুধু অযুহাত শোনান।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি অভয়ারণ্য রক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে, তবে এই দেশ আমাদের। আমাদের বাঁচতে হলে জীবনের নিরাপত্তা দরকার। জীববৈচিত্র আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র হাতিয়ার। পাহাড়ে যতো বেশি ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে, ততো বেশি আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের আন্তরিকতার অভাব নাই। প্রশ্ন হচ্ছে, গুরুত্বসহকারে কাজ করলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব। এই দেশ সাম্যের দেশ। এইদেশের মালিক আমরা, সম্পাদের মালিক আমরা। এগুলো উজাড় করে দিবেন আমাদের জানাবেন না এটা কেমন কথা। উন্নয়ন আমরাও চাই, সচেতন নাগরিক হিসেবে।
লোহাগাড়ার চুনতিস্থ হোটেল মিডওয়ে ইন রেস্টুরেন্টর হল রুমে পরিবেশ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী সানজিদা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুলতানা কামাল।
যারা পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিবেশের বালু-পাহাড়খোদের আইনের আওতায় আনা হলে আর কেউ পাহাড় কেটে বালু উত্তোলনের সাহস পাবে না। সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবন-মান রক্ষা করা যাবে সেভাবে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও অরণ্য কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আহবায়ক শারমীন মুরশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও অরণ্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল, চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান, চুনতি রেঞ্জ অফিসার ছৈয়দ আবু জাকরিয়া, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আনোয়ার কামাল, লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক পুষ্পেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি নাজিম উদ্দিন রানা, “অরণ্য” এর সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজুর রহমান খান, সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমন প্রমূখ।
এ সময় চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন, পদুয়া রেঞ্জ অফিসার মনজুরুল মোরশেদ, বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসার হাবিবুল হক, সাতগড় বিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণি বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।