লোহাগাড়া ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ;
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও পারিবারিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১৮ জুন) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের হল রুমে স্মৃতিচারণ, র্যাফেল ড্র, শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে শাহপীর পাইল্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৩ ব্যাচের মোট শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী অংশ নেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর একসঙ্গে মিলিত হয়ে স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণে মেতে ওঠেন।
পুরনো বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গ পেয়ে ফের যেন কিশোর-কিশোরীতে পরিণত হন তারা। হাসি, ঠাট্টা, খুঁনসুটিতে ভরে ওঠে পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানের কক্ষ। এসময় নিজেদের পরিবার-সন্তানদেরও সঙ্গে নিয়ে আসেন অনেকে। বাবা, মায়ের এমন শিশুসুলভ আচরণ দেখে হতবাক হয় তারা।
আয়োজন প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ২০০৩ ব্যাচের ক্যাপ্টেন ব্যাংকার আসিফ ইমরান বলেন, “দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দীর্ঘ ২১ বছর পর একসঙ্গে সবার সাথে দেখা হয়েছে; আমরা অনেক স্মৃতিচারণ করেছি, পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলোকে স্মরণ করেছি। আমরা বন্ধুত্বের বন্ধন ধরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবো। আর প্রবাসে যেসব বন্ধু রয়েছে তাদের খুব মিস করছি।”
২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এডভোকেট এহছানুল হক বলেন, “দীর্ঘ ২১ বছর পর পুরোনো বন্ধুদের একসঙ্গে দেখতে পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয় কিন্তু শৈশব থেকেই। পরিপক্ব বয়সের বন্ধুত্বে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয় না। তাই, যখনই আমি সুযোগ পাই আমরা সবাই একসাথে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করি। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
এডভোকেট মো.এরফানুর রহমান বলেন আমাদের এই পূর্ণমিলনী যেন মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। আজকের দিনটি আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা আজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সবাইকে শুভেচ্ছা। এক সময় আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করলেও, জীবিকার তাগিদে অনেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।
কেউ ঢাকা, কেউ চট্টগ্রাম- জীবনের এমনই নিয়ম। এখন হয়তো কালেভদ্রে সেসব বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। ফলে আমরা চেয়েছিলাম এবারের সবাই একত্রিত হতে। সবাইকে পেয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা হলো।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের পাশাপাশি ২০০৩ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবনের নানা স্মৃতিচারণ করেন। সুন্দর আগামী গড়তে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
শিক্ষকরা বলেন, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। সরকারি- বেসরকারি নানা খাতে তাদের অবদান অনেক। এস.এস.সি ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কর্মময় জীবনের সাফল্য কামনা করে সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান শিক্ষকগণ. আয়োজন শেষে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।