মোঃ শাহাব উদ্দিন
সাম্প্রতিক সময়ে দরিয়ানগরখ্যাত কক্সবাজারের যে ক’জন তরুণ লেখালেখিতে পাঠকপ্রিয়তা অর্জনে অগ্রগামি তাদের মধ্যে আনম রফিকুর রশীদ শীর্ষে বললে অত্যুক্তি হয় না।

জেলার নিভৃত পল্লীর ধূলিকণার সাথে বেড়েউঠা বয়সে তরুণ হলেও শিক্ষাদানে সর্বোচ্চ ধাপ কৃতিত্বের সাথে অতিক্রান্ত করেছেন। শিক্ষাদানের পাশাপাশি লেখালেখিকে ব্রত হিসেবে গ্রহন করে বুদ্ধাপাঠকের সবিশেষ নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছেন। দেশীয় মূলধারার সংবাদপত্রের সাহিত্য পাতায় শুধু নয়,পার্শ্ববর্তী দেশের বাংলা সাহিত্য প্রকাশনিতেও লেখার মান বিচারে উত্তীর্ণ হয়ে স্থান করে নিয়েছেন। বিষয়টি রফিকের একই ধূলায় বেড়াউঠাদের একজন, একজন শুভার্থী, একজন সতীর্থ, সর্বোপরি একজন অগ্রজ হিসেবে গর্ববোধ করি বৈকি।

তরুণ এই লেখক এরিমধ্যে পাঁচটি গ্রন্থ পাঠকের হাতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। ‘শূন্যবৈভব’ তার সাড়াজাগানো উপন্যাস। ‘সমুদ্রে’ ও ‘অবরুদ্ধ সূর্য’ তার যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় কবিতার বই।

‘লু’ কাব্যগ্রন্থটি কবিতাপ্রেমিগণ বেশ সমাদরে লোপে নেয়, যেটি কবি আনম রফিককে তার পরবর্তী কাব্য সম্ভার ‘তুড়ি’ রচনায় ও প্রকাশে দারুণভাবে আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে উদ্ভাসিত করে। সামাজিক অসংলগ্নতা ও পঙ্কিলতা তার লেখার অন্যতম উপজীব্য। তার লেখায় তোলে আনা বিষয়গুলো পাঠককুলে ভাবনার খোরাক যেমন জোগায়, তেমনি তাদেরকে ভাবনার অতলান্তে অবগাহনও করায়। ‘শব্দের শৈল্পিক তুলিতে অঙ্কিত পরিবেশ ও প্রকৃতির বাস্তব চিত্র ‘তুড়ি’। ‘তুড়ি’ মানুষের আচরণ, আভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক জীবনচক্র, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।’

ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা/২৩ উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় পুস্তক প্রকাশনী সংস্থা ‘আগামী’ কবি আনম রফিক রচিত সাতচল্লিশটি কবিতা সম্বলিত কাব্যগ্রন্থ- ‘তুড়ি’ পাঠক সমাজের সামনে উপস্থাপন করেছে – এটি লেখকের বিরল একটি সম্মান ও গৌরবের কারণও বটে। তরুণ এই কলমসৈনিকের কলমের তেজোদীপ্ত ধার অব্যাহত গতিতে পাঠকে ভাবাবে – এটিই প্রত্যাশ্য।

মোঃ শাহাব উদ্দিন
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পটিয়া উপজেলা
ও প্রাক্তন শিক্ষক, কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন