শাহেদুর রহমান

স্মার্ট বলতে আমরা বুঝি উচ্চ গুণাবলীসম্পন্ন বুদ্ধিমান, মেধাবী মানুষকে। যার মাঝে আভিজাত্য নয়, বরং প্রকৃত অর্থে তার কাজের মাঝেই স্মার্টনেস থাকে৷ আর একজন পরিপূর্ণ স্মার্ট মানুষ হতে পথ দেখায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রজন্ম যখন স্মার্টনেসের সাথে হাঁটবে দেশ তখন স্মার্টনেসকেও ছাড়িয়ে দৌড়াবে। একটি স্মার্ট দেশ গঠনে তরুণদের স্মার্টনেসের বিকল্প নেই।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে চলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। সৃষ্টিলগ্ন থেকে ছাত্রলীগ এ দেশ ও দশের সংকটে, সংগ্রামে নির্ভীক মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে৷ প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সাত দশকের জনগণের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনও দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে পিছপা হয়নি৷ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ছুটে চলা লক্ষ তরুণ আজ এই সংগঠনে নাম লিখিয়েছে, শিখে নিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্বার গতিতে জয় বাংলার সংগ্রামী স্লোগান।

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখুন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে আজ কোন ত্রুটি নেই। শিক্ষার্থীদের আধুনিকায়ন, ক্যাম্পাসে মনোরম পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিতকরণে ছাত্রলীগ আজ অনেকটা সফল। তা যে কেউ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চোখ রাখলেই বুঝবেন।

একজন শিক্ষার্থীর সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনি আপনার সন্তানকে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতি চর্চায় আগ্রহী করে তুলুন। দেখবেন ছাত্রলীগ আপনার সন্তানকে নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষিত, প্রতিবাদী একজন স্মার্ট সন্তান উপহার দিবে। ছাত্রলীগের রাজনীতি শিক্ষার্থীদের আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে। সমাজের কাছে আপনার মুখ উজ্জ্বল করবে এই ছাত্রলীগ করা ছেলেটিই।

যদি আপনার সন্তানকে ক্লাসরুমের পাঠ্যবইয়ের বাইরে ভালো কিছু শেখাতে চান, তাহলে নিঃসন্দেহে ছাত্রলীগের রাজনীতির উপর ভরসা করতে পারেন। ছাত্রলীগ বাস্তবিক অর্থে আপনার সন্তানকে স্মার্ট হওয়ার পথে হাঁটাবে।

ছাত্রলীগ আপনার পোষাক, চলা-কলা, আচরণ সব কিছুকে স্মার্ট রূপে রূপান্তর করবে! ছাত্রলীগ আপনার কোমল গলায় প্রতিবাদী উচ্চস্বর এনে দিবে৷ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছাকাছি থেকে এই ছাত্রলীগ একদিন আপনার মানকে আরো উঁচুতে এনে সমুন্নত করবে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর কাতার থেকে একজন অসাধারণ শিক্ষার্থীর রূপ কেবল ছাত্রলীগের রাজনীতিই দিতে পারে।

একবার ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে দেখুন, গঠনমূলক ও পরোপকারী কাজ ব্যতীত কোনো খারাপ কাজ আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না। একজন ছাত্রলীগ করা ছেলেকে দশ জন সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে মিশিয়ে দেখুন ছাত্রলীগ করা ছেলেটি বাকি নয় জনের থেকে নিঃসন্দেহে স্পেশাল হবে। তার মাঝে আলাদা কোয়ালিটি থাকবে, একজন শিক্ষার্থীর বাইরে গিয়েও সে অনেক কিছু করার যোগ্যতা অর্জন করবে। তাদের মধ্যে অদম্য সাহসী মনোবলের সঞ্চার হবে। একজন ছাত্রলীগ কর্মীর সম্মিলিত গুণের সমষ্টিতে সব কিছু নিমিষে হেরে যাবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র আছে। এই সংগঠনের মূলনীতি ‘শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি’ হিসেবে জানি। এই সংগঠনে আবদ্ধ নেতাকর্মীদের অতিবাহিত ছাত্রজীবনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনেক নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। এই সংগঠনে অন্যায়কারী ও অপরাধীদের স্থান হয় না। কোনো নেতাকর্মী কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এত এত শর্তাবলি ও নির্দেশনা মেনে অন্তত ছাত্রজীবনটা অতিবাহিত করতে পারলেই আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে আলো আসবেই।

ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আপনি বড় রাজনীতিবিদ না হোন, কিন্তু দেশের জন্য কাজ করতে কোন প্রতিবন্ধকতাই আপনাকে আটকাতে পারবে না। আপনি যেখানেই যাবেন সবার চেয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার সক্ষমতার অধিকারী হবেন। ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা হওয়া গর্বের এবং এই সংগঠনের কর্মী হওয়া গৌরবের। তারুণ্যের মেধা ও শক্তির সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তরুণদের স্মার্টনেসকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বের যেকোনো অপশক্তিকে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বে।

একজন স্মার্ট সন্তানের অভিভাবক হওয়ার গৌরব এ সংগঠনের রাজনীতি করা মা-বাবারই বুঝবেন। আশা করছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মী স্বগুণে, স্বকর্মে স্মার্ট হয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করবে। কারণ? বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এপারে ভালো কিছু করলে ওপারে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি পায়।

জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জয় হোক।


লেখক:  যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখা।